গতকাল দিনের বেশিরভাগটা রৌদ্রজ্জ্বল থাকলেও ভোরের দিকে বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়, সকালেও যে ধারা অব্যাহত ছিল। আর বৃষ্টির প্রভাবে সকালে ঢাকার বাতাসের মানে লক্ষণীয় উন্নতি দেখা গেছে।
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে সড়কে যানজট ও কর্মব্যস্ত মানুষের ভিড় থাকলেও ঢাকার বাতাস আজ ‘ভালো’ হয়ে উঠেছে। রবিবার (১৭ আগস্ট) সকালে সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের দূষণ-মান ছিল ৫০। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী এই স্কোর ‘ভালো’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ হয়েছে।
এই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার ৭৪তম স্থানে নেমে এসেছে ঢাকা। অথচ গতকাল এই সময়ে ১২২ একিউআই স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরগুলোর তালিকার অষ্টম স্থানে উঠে গিয়েছিল রাজধানী শহর।
এদিকে, আজও দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষ পাঁচে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর ও ভারতের দিল্লি। তবে গতকাল সকালের চেয়ে আজ শহরদুটির দূষণ অনেকটা কমেছে। এ ছাড়া গত দুদিনের মতো আজও বাতাসের মানেও তাদের কাছাকাছি থাকতে দেখা গেছে। যেখানে ১০২ স্কোর নিয়ে তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে দিল্লি, সেখানে ৯৮ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে লাহোর। গতকাল এই সময়ে লাহোরের ১৫৯ এবং দিল্লির বাতাসে দূষণের স্কোর ছিল ১৫২।
আরও পড়ুন: দিল্লি লাহোরের আরও অবনতি, ঢাকার বাতাসে ‘লক্ষণীয়’ দূষণ
একই সময়ে ১৫৮ স্কোর নিয়ে আজও তালিকার শীর্ষে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা। ১২৪ ও ১০৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার দুই শহর— জাকার্তা ও মেদান।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।